আপনার টাকার সঠিক ব্যবহার করুন দেখুন কিভাবে!

রাসূল সা. এর জীবনি (পর্ব - ০০) লেখকের কথা

আজকে থেকে এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা একটা নতুন অধ্যায় শুরু করছি। পরবর্তি পোষ্টসমূহে আপনারা আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সা. এর জীবনি পাবেন। রাসূল সা. এর জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে আমাদের জন্য শিক্ষা নিহীত রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রাসূলের আদর্শ মেনে চলার তাওফীক দান করুন। আমীন। জীবনির এই লেখাটা আমরা একটি বই থেকে সংগ্রহ করেছি, যে বইটি লিখেছেন মুফতী মানসুরুল হক দাঃ বাঃ।

লেখকের কথা

باسمه تعالي
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ তাআলার এবং তাসবীহ পাঠ করছি তাঁরযিনি আমাদেরকে ঈমানের মতো মূল্যবান দৌলত দান করেছেন। দুরূদ ও সালাম পাঠ করছি তাঁর প্রিয় হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর যিনি এই পরম দৌলত রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে যথাযথভাবে পৌঁছিয়েছেন।

পবিত্র কুরআনের সূরা ফাতিহায় মুমিন বান্দাদেরকে আল্লাহর কাছে সরল পথের তাউফীক প্রার্থনা করার শিক্ষা দেয়া হয়েছে। কিন্তু আহলে ইলমের কাছে এ কথা অজানা নয় যে, “সরল পথবলতে এখানে নির্দিষ্ট কোন আমল উদ্দেশ্য নয়। বরং উদ্দেশ্য হলো নবী, রাসূল, সিদ্দীক, শহীদ ও নেককারদের আমল ও কর্মপন্থা।

সুতরাং সরলপথ প্রাপ্ত হতে হলে আমাদের করণীয় হচ্ছে,আখেরী নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত এবং আখেরী নবী কর্তৃক স্বীকৃত ও সমর্থিত পূর্ববর্তী আম্বিয়া আ. এর আদর্শ সহ সাহাবায়ে কিরাম, সিদ্দীকীন ও সালেহীনের পথ ও পন্থা অনুসরণ করা। সেই সাথে নবী-রাসূল আলাইহিমুস সালাম ও তাদের উম্মতের জীবনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা থেকে শিক্ষা অর্জন করা। এ ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করছেন,

"لقد كان فى قصصهم عبرة لاولى الاباب"

নিশ্চয়ই তাদের ঘটনাবলীতে রয়েছে বোধসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য শিক্ষা। সূরা ইউসুফ; আয়াত: ১১১।

বিষয়টি  অনুধাবনের জন্য আমরা যদি কুরআনে কারীমের দিকে লক্ষ করিতাহলে দেখবনিছক কোন কিসসা কাহিনীর কিতাব না হওয়া সত্ত্বেও পবিত্র কুরআনে পূর্ববর্তী অনেক নবী রাসূল আলাইহিমুস সালাম এবং তাঁদের উম্মতের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। দেখানো হয়েছে সেসব আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম কত নিষ্ঠা ও পরিপূর্ণতার সাথে আসমানী বাণী স্বীয় উম্মতের নিকট পৌঁছে দিয়েছেন! সেই সাথে আলোচনা করা হয়েছে সেসব ভাগ্যবান মানুষের কথা,যারা নবীর ডাকে সাড়া দিয়ে এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার মাধ্যমে দুনিয়া আখেরাতের কামিয়াবী অর্জন করেছেন।

আরেকটি লক্ষ করার মতো বিষয় হলোশুধু নেককারদের পথ বাতলে দিয়েই কুরআনে কারীম ক্ষান্ত থাকেনি। বরং যারা পয়গম্বরদের বিরুদ্ধাচরণ করে আল্লাহ তাআলাকে অস্বীকার করেছেআখেরাতের নির্ধারিত আযাবের সাথে সাথে দুনিয়াতেই যে তারা বিভিন্ন প্রকার লোমহর্ষক আযাব,গযব ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির সম্মুখীন হয়েছেসে বর্ণনাও কুরআনে কারীমের বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজন অনুযায়ী রয়েছে।

তবে এসব ঘটনাবলীর পরিপূর্ণ বিবরণ কুরআনে নেই। বরং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পবিত্র কুরআনে সৎকর্মশীলদের পুরস্কার প্রাপ্তি ও অসৎকর্মীদের অশুভ পরিণতির  মূল ঘটনাগুলোর অংশ বিশেষ পেশ করা হয়েছে। পরিপূর্ণ ঘটনা জানতে হলে  হাদীস তাফসীর ও তারিখের কিতাবাদীর শরণাপন্ন হতে হয়।

কিন্তু হাদীস তাফসীর ও তারিখের কোন কোন গ্রন্থে এসব বিষয়ে বিভিন্ন ভিত্তিহীন বর্ণনা ও ইসরাঈলী রেওয়াতে পাওয়া যায়।  মুহাক্কিক উলামায়ে কিরামের নিকট যেগুলো গ্রহণযোগ্য নয়। তাই কুরআনে বর্ণিত পূর্ববর্তী নবীগণের উম্মতের অবস্থা ও পাপীদের উপর নেমে আসা শাস্তির ঘটনাবলী তাফসীর ও হাদীসের নির্ভরযোগ্য কিতাবাদীর আলোকে সবার সামনে পেশ করা ছিলো সময়ের দাবী।

আলহামদুল্লিাহ,আল্লাহ তাআলার অশেষ মেহেরবানীতে দীর্ঘদিন যাবৎ নির্ভরযোগ্য গ্রন্থাবলী থেকে এসকল ঘটনা একত্র করে প্রত্যেক ঘটনার সাথে শিক্ষণীয় বিষয়ের আলোচনা সহ মাসিক আদর্শ নারীতে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হচ্ছিলো। সেই লেখাগুলোই এখন বাংলা কিতাব আকারে প্রকাশ পেতে যাচ্ছে।

এসব ঘটনার দিকে দৃষ্টি দিলে দেখা যায়আল্লাহর অবাধ্যতা এবং ফলশ্রুতিতে শাস্তির উপযুক্ত হওয়ার মূল কারণ ছিলো তাকওয়াহীনতা ও খোদাভীতির অনুপস্থিতি। সুতরাং এসব ঘটনা থেকে আমাদের অর্জন করার মূল বিষয় হলো,তাকওয়া ও খোদাভীতি। সে বিবেচনা থেকেই এ কিতাবের নাম রাখা হয়েছে এসোতাকওয়া অর্জন করি

(এসো তাকওয়া অর্জন করি বই এর একাংশ এখানে পর্ব হিসেবে দেওইয়া হচ্ছে বাকি পর্বগুলো আসতে আসতে এই সাইটে প্রকাশ হবে ইনশা আল্লাহ।)

দুখণ্ডে প্রকাশিত এ কিতাবের প্রথম খণ্ডে পাঠক হযরত যাকারিয়া আলাইহিস সালামের পূর্বের নবীগণের বর্ণনা পাবেন। দ্বিতীয় খণ্ডের শুরুর দিকে পাবেন যাকারিয়া আলাইহিস সালামের যুগের বর্ণনা। শেষ অংশে থাকবে সাইয়িদুনা রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগের বিবরণ।

সর্বোপরি পাঠকবৃন্দের কাছে নিবেদন,কোন ত্রুটি দৃষ্টিগোচর হলে আশা করি আমাদের জানাবেন। পরবর্তী সংস্করণে ইনশাআল্লাহ শুধরে নেয়া হবে।

পরিশেষে মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে মিনতিতিনি যেন আমাদের এ মেহনতটুকু কবুল করে নেন এবং আম্বিয়ায়ে কিরাম আলাইহিমুস সালামের এসকল ঘটনাবলী পাঠের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টির দিকগুলো বুঝার এবং অন্তরে তাকওয়া তথা খোদাভীতি অর্জনের তাউফীক দান করেন! সেই সাথে এ কিতাবকে আখেরাতে আমাদের নাজাতের উসিলা বানান। আমীন, ইয়া রাব্বাল আলামীন!

মনসূরুল হক,
বিশিষ্ট খলীফা, হযরতওয়ালা শাহ আবরারুল হক রহ.
প্রধান মুফতী ও শাইখুল হাদীস,

জামিআ রাহমানিয়া আরাবিয়া, (রাহমানিয়া মাদরাসা), ঢাকা।
নায়েবে আমীর,
মজলিসে দাওয়াতুল হক, বাংলাদেশ।

Rate This Article

আমাদের রাসূল সা. এর জীবনি (পর্ব - ০০) লেখকের কথা বিষয়ক লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের পোষ্টটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ রইল।

Getting Info...

About the Author

ছোট বেলা থেকেই টেকনোলজির নিজের ভিতর অন্যরকম একটা টান অনুভব করি। যদিও কওমি মাদরাসার চার দেয়ালের ভিতরেই ছিল বসবাস। তারপরও অধম্য আগ্রহের কারনে যতটুকু শিখেছি ততটুকু ছড়িয়ে দিতে চাই সকলের মাঝে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

কুকি সম্মতি
আপনার ব্রাউজিং আরো সুন্দর রাখতে, ও আপনার করা বুকমার্ক মনে রাখতে আমাদেরকে কুকি সংরক্ষনে সম্মতি দিন।
উহু!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট কানেকশনে সমস্যা হয়েছে। দয়া করে ইন্টারনেট কানেকশন চেক করুন। অথবা আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।